Faisal Story by Md Ehsanul Haque Faisal, Md Enamul Haque, বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, নোয়াখাইল্লা রঙ্গ (e ink ebook reader TXT) 📖
Book online «Faisal Story by Md Ehsanul Haque Faisal, Md Enamul Haque, বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, নোয়াখাইল্লা রঙ্গ (e ink ebook reader TXT) 📖». Author Md Ehsanul Haque Faisal, Md Enamul Haque, বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, নোয়াখাইল্লা রঙ্গ
ফায়াজের মাঃ - মেহের তুমি সাজগোজ করোনি কেন? নতুন বউ তুমি। সাজগোজ না করলে মানায় না। তাছাড়া কিছুক্ষণ পর মেহমানরা আসবে তোমাকে দেখতে। গলায়, হাতে, কানে কিছু পড়ে নিও। নয়তো নানান কথা বলবে।
- মেহের মাথা ঝুলিয়ে সায় দিলো। ফায়াজ বলে উঠলো...
ফায়াজঃ - কি করবে?? এতদিন বিধবার বেসে ছিলো অভস্ত হয়ে গেছে। ও হয়তো ভুলেই গেছে গতকাল ওর বিয়ে হয়েছে। ও এখন আর বিধবা নয়।
- বলেই পৈচাশিক হাসি দিলো। মেহেরের খাবার গলায় আটকে গেলো। ছলছল চোখে ফায়াজের দিকে চেয়ে আছে। এভাবে বলতে পারলো?? ফাহমিদা খান ছেলেকে ধমক দিয়ে বললেন...
ফায়াজের মাঃ ফায়াজ, বড় হয়েছো ঠিকি কিন্তু মাথায় বুদ্ধি শুদ্ধি কিছুই হয়নি। কখন কোথায় কি বলতে হয় শিখোনি?
- ফায়াজ অপরাধী ভংগীতে কান ধরে বললো...
ফায়াজঃ সরি মম। সরি মেহের।
- নাস্তা শেষে ফায়াজের মা ফায়াজকে নিজের রুমে নিয়ে গেলেন।
ফায়াজের মাঃ - কি সমস্যা ফায়াজ??
ফায়াজঃ - কি সমস্যা?? কি করেছি আমি মম?
ফায়াজের মাঃ - কি করেছো জানো না? মেহেরকে ওসব বলার কারণ কি?
ফায়াজঃ - মম সরি তো বলেছি।
ফায়াজের মাঃ - সরি কোনো ফ্যাক্ট না। তুমি এভাবে কেন বললে? তুমি তো জেনে শুনেই মেহেরকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়েছো। আমরাও আপত্তি করিনি এ নিয়ে তোমার সমস্যা থাকলে আগেই বলতে পারতে। কিন্তু এভাবে একটা মেয়েকে অপমান করা কষ্ট দেওয়ার অধিকার তোমার নেই। ওর চেহারা দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ও নাখোশ। ওর খেয়াল রাখো।
ফায়াজঃ - ওকে মম সরি।
ফায়াজের মাঃ - তুমি কখনোই আর এসব বলে ওকে হার্ট করবেনা। মনে থাকে যেন। আমি তোমাকে সুখী দেখতে চাই। মন দিয়ে সংসারটা করো।
ফায়াজঃ - ওকে মম।
- ফায়াজ মাকে খুব ভালোবাসে। তাই চুপচাপ সব মেনে নিলো। ফায়াজ রাগে গজগজ করতে করতে নিজের রুমে গেলো। মেহের ফোন নিয়ে কিছু একটা করছিলো তখনই ফায়াজ ওকে টেনে তুলে দুবাহু চেপে বলে...
ফায়াজঃ - তোর সমস্যা কি হা?? তুই কি প্রমাণ করতে চাস? চেহেরায় দুখী ভাব এনে সবাইকে এটা জানাতে চাস তোর সাথে আমার সম্পর্ক ভালোনা।
- মেহের ভয়ে চুপসে আছে কথা বলছেনা। তা দেখে ফায়াজের আরও রাগ বেড়ে গেলো।
ফায়াজঃ - স্পিক আপ ডেম ইট।
- মেহের কেপে উঠলো...
মেহেরঃ না, আমি তা...
ফায়াজঃ - তাহলে, আগের স্বামীকে খেয়েছিস এখন আমাকে খেয়ে আবার বিধবা হতে চাস??
- ফায়াজের কথাটা মেহেরের বুকে কাটার মতো বিধলো। মনে হচ্ছে হাজারো ছুড়ি দিয়ে হৃদয়টাকে কেউ ছিন্ন ভিন্ন করে দিলো।এবার আর চোখের পানি আটকাতে পারলো না।
ফায়াজঃ - নো নো, একদম না। চোখে নো পানি। এগুলো তুলে রাখো ভবিষ্যতের জন্য। এখন যাও সাজগোজ করে নেও। আমরা ছোট লোক নই। মেহমানদের কাছে নাক কাটবে সেটা মেনে নেবো না। আর শোনো মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখবে সবসময়।
- মেহের চোখের পানি মুছে আয়নার সামনে গিয়ে বসলো। তারপর কাপা কাপা হাতে লিপস্টিক তুলে নিলো। ওর হাত কাপছে।
গত তিন বছর ধরে নিজের হাতে সাজেনি। লিপস্টিক ও ছুয়ে দেখেনি। বিয়ের দিন পার্লারের মেয়েরা সাজিয়ে দিয়েছিলো। যদিও ইচ্ছে ছিলো না কিন্তু বিয়ে বলে কথা। মেহের কাপা কাপা হাতে ঠোঁটে লিপস্টিক দিচ্ছে যা ফায়াজের চোখ এড়ায়নি।
মেহের কানে ঝুমকো, গলায় চেইন, দুহাতে চুরি, আংটি, ঠোঁটে লিপস্টিক, চোখে কাজল, কপালে ছোট একটা চিপ, চুলে খোপা করে নিজেকে পরিপাটি করে নিলো। তারপর ফায়াজের সামনে গিয়ে মাথা নিচু করে দাড়ালো। ফায়াজের চোখ আটকে গেছে মেহেরের দিকে। এই হালকা সাজেও মেয়েটাকে অপ্সরা লাগছে। ফায়াজ মেহেরের চারদিকে হেটে বললো...
ফায়াজঃ - হুম ঠিকঠাক। তবে কি জানো যার ভিতরটা নোংরা সে বাইরে যতই সুন্দরী হোক না কেন সে প্রকৃত সুন্দরী নয়। যেমন তুমি।
- মেহের চুপচাপ ফায়াজের অপমান হজম করে নিলো। তারপর মেহের...
পর্ব-৩
ফাবিহা_নওশীন
- ফায়াজের বোন ভিডিও কলে ভাই-ভাবীর সাথে কথা বলছে।
ফায়াজের বোনঃ - আরে ভাবী তুমি তো খুব সুন্দর। ওপপস!! এখন দুঃখ হচ্ছে কেন যে আসলাম না। ভাইয়া তুই এই পরীটাকে কই পাইলি??
ফায়াজঃ - ওই খালি ভাবী ভাবী করছিস কেন?? আমাকে দেখিস না?? আমি কম কিসে? আমার মতো দু-চারটে হ্যান্ডসাম ছেলে দেখাতো পারলে??
ফায়াজের বোনঃ - হইছে ভাই। আর নিজের প্রসংসা করে ইমেজ বাড়াতে হবেনা। আয়নার সামনে গিয়ে দাড়া তাহলেই আস্ত হনুমান দেখতে পাবি।
ফায়াজঃ - ওই জংলী, লন্ডনে থেকে অনেক ভাব বেড়েছে তাই না?? সামনে আয় ফকন্নি।
ফায়াজের বোনঃ - আসছি ২মাস পর। পরীক্ষা শেষ করে। এখন যা আমি ভাবীর সাথে একা কথা বলবো।
ফায়াজঃ - কি কথা বলবি?
ফায়াজের বোনঃ - নিশ্চয়ই তোর সুনাম করবো না। তোর বদনাম করবো।
- ফায়াজ মুখ ভেংচি কেটে চলে গেলো।
ফায়াজের বোনঃ ভাবী আমিতো তোমার দিক থেকে চোখ ফিরাতে পারছিনা। এই জন্যই ভাইয়া এতো পাগল হয়ে পড়েছিল তোমাকে বিয়ে করার জন্য। আচ্ছা যাই হোক, তোমাকে একটা কথা বলি। ভাইয়ার প্রতি একটু কেয়ার রেখো। রাগী, জেদি হলেও মনটা অনেক ভালো। একটা অতীত ভাইয়াকে ভেংগে দিয়েছে, বদলে দিয়েছে। ভাইয়া যদি তোমার সাথে রাগারাগি করে একটু সহ্য করো। ভাইয়ার সাথে একটু মানিয়ে নিও প্লিজ। এটা আমার অনুরোধ।
- মেহের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো...
মেহেরঃ ঠিক আছে আপনি চিন্তা করবেনা।
- ফায়াজ চোখমুখ কুচকে চিতকার করলো...
ফায়াজের বোনঃ ভাবিইইইই....
- মেহের ঘাবড়ে গেলো।
মেহেরঃ কি হলো??
ফায়াজার বোনঃ - তুমি আমাকে আপনি করে বলছো কেন?? আমি তোমার ননদ। আমি তোমাকে তুমি করে বলছি আর তুমি আপনি। কি লজ্জা কি লজ্জা।
- মেহের ফিক করে হেসে দিলো...
মেহেরঃ ঠিক আছে আমি তুমি করেই বললো।
- ওদের মধ্যে অনেকক্ষন কথা হলো। ফারিহা মেয়েটা অনেক ভালো। মেহেরের খুব পছন্দ হয়েছে। বাসায় বিভিন্ন মেহমান এলো।কেউ কেউ মেহেরের প্রসংশা করলো আবার কেউ কেউ খুত ধরতে ব্যাস্ত। ডিনার শেষে মেহেরের শাশুড়ী মা মেহেরকে নিজের ঘরে নিয়ে গেলো। মেহেরকে বসিয়ে দরজা লক করে দিলো। মেহের বুঝতে পারছে ওনি ইম্পর্ট্যান্ট কিছু বলবে। ফাহমিদা খান মেহেরের পাশে বসে ইতস্তত করছে। কিভাবে কি শুরু করবে বুঝতে পারছেনা। তাই দেখে মেহের বললো...
মেহেরঃ - মা আপনি কিছু বলতে চাইছেন? মা হিসেবে মেয়েকে নিঃসংকোচে বলতে পারেন।
- তারপর মেহেরের গালে হাত রেখে বললো...
ফাইজার মাঃ দেখো মা তুমি এখন এই বাড়ির বউ। এটা এখন তোমার বাড়ি, তোমার সংসার। তোমাকে আপন ভেবে নিজের মেয়ে ভাবে কিছ কথা বলছি।
মেহেরঃ - হ্যা বলুন।
ফায়াজের মাঃ - কথাটা ফায়াজকে নিয়ে। ও ছোট থেকেই রাগী, জেদি একটা ছেলে। যা চেয়েছে তাই পেয়েছে। না পেলে আদায় করে নিয়েছে। ও তোমার স্বামী ওর সব কিছু জানার অধিকার তোমার আছে।
একটা মেয়েকে পছন্দ করতো কিন্তু মেয়েটাকে ওকে ঠকিয়েছে আর এটা ও মেনে নিতে পারেনি। তাই নিজেকে সামলাতে পারেনি। নষ্ট করে দিয়েছে নিজেকে। মদ, নেশায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছে। স্বাভাবিক জীবন থেকে অনেক দূরে চলে গেছে।কখন কি করে বলা মুশকিল। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি ওকে শোধরানোর। বিয়ে দিতে চেয়েছি। কিন্তু কিছুতেই রাজি হয়নি। তারপর একদিন তোমার কথা বললো। আমরা আশার আলো দেখতে পেলাম। তোমাকে দেখেও মনে হয়েছে তুমি আমার ছেলেটাকে শোধরাতে পারবে। সুখী করতে পারবে।
তোমাকে সকালে দেখে আর নাস্তার টেবিলে ওর কথা শুনে বুঝতে পেরেছি ও তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেনি। এই জন্য আমি মা হয়ে ওর পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি।
মেহেরঃ - মা এসব কি বলছেন, ক্ষমা কেন চাইছেন? ওনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। সত্যি বলছি।
ফায়াজের মাঃ - আমি জানি ওকে। আমিতো ওর মা। তুমি একটু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করো ওর সাথে। ও যেন ওর অতীত ভুলে নতুন জীবন শুরু করতে পারে সেই চেষ্টা করো। হাল ছেড়ে দিওনা। মেয়েদের অনেক শক্তি। মেয়েরা চাইলে অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে। আমরা আগামীকাল চলে যাচ্ছি। তাই সবকিছু তোমাকে বলে দিলাম। এখন থেকে তোমাকে একাই সামলাতে হবে।আর কোনো সমস্যা হলে আমাকে নির্দিধায় জানাবে।
মেহেরঃ - জ্বি, আচ্ছা। দোয়া করবেন আমাকে।
ফায়াজের মাঃ - দোয়া করি তোমাদের জুড়ি অক্ষয় হোক। সুখী হও। ভালো থাকো।
- তারপর তিনি কতগুলো গয়না আর শাড়ি এনে মেহেরের হাতে দিলেন।
ফায়াজের মাঃ এই শাড়িগুলো তোমার জন্য কিনেছি আমি নিজে পছন্দ করে। আর এই গয়না গুলো আমাদের বংশের। আজ থেকে এগুলো তোমার। না করবে না। এইগুলো আমার দোয়া।
- মেহের হাসি মুখে সব গ্রহণ করলো। তারপর সালাম করে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়ালো। রুমে গিয়ে সবকিছু আলমারিতে গুছিয়ে রাখছে। গুছিয়ে রেখে পিছনে ঘুরতেই চমকে গেলো। ফায়াজ দেয়ালে এক পা উঠিয়ে ঢেলান দিয়ে একমনে মেহেরের দিকে চেয়ে আছে। তারপর পা ফেলে মেহেরে দিকে এগিয়ে আসছে আর আস্তে আস্তে বলছে...
ফায়াজঃ - শাড়ী...গয়না...
- মেহেরের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। মেহের ভয় পেয়ে পিছাতে লাগলো। পিছাতে পিছাতে আলমারির সাথে মিশে গেলো। ও বুঝতে পারছেনা ফায়াজ কেন এমন করছে। কেন ওর দিকে এভাবে এগুচ্ছে। ভাবতে ভাবতে ফায়াজ ওর একদম কাছে চলে গেল। ফায়াজ ওর গালের উপর পড়া চুলগুলোতে হাত বুলাচ্ছে। ফায়াজ ওর কাছে যেতেই মেহের বিশ্রী গন্ধ পেলো। মালতা মাতলা কন্ঠে ধীরে ধীরে বললো...
ফায়াজঃ - তোমার মনে আছে মেহের, তোমার এই চুল দেখে আমি দ্বিতীয় বার তোমার প্রেমে পড়েছিলাম??
- মেহের বুঝতে পারলো ফায়াজ ড্রিংক করেছে। হুশে নেই। আর ভাবছে ড্রিংক করলো কিভাবে? আজকে তো বাসার বাইরে যায়নি উনি। তারপর সোফার পাশে ট্রি টেবিলে চোখ যেতেই মদের বোতল, গ্লাস দেখতে পেলো। ফায়াজ ওর চুল সরিয়ে গালে স্লাইড করতে করতে গালের দিকে ঠোঁট এগুতেই মেহের ওকে বাধা দিলো।
ফায়াজঃ - প্লিজ সরুন। আমার ভালো লাগছে না। আপনি হুশে নেই। শুয়ে পরুন।
- ফায়াজ চোখ বন্ধ হয়ে আসছে তাও খোলা রেখে বললো...
ফায়াজঃ - ভালো লাগছেনা?? আমার ছোয়া ভালো লাগছে না?? কেন তোমার ফার্স্ট হাসব্যান্ড তোমাকে এর চেয়ে ভালো ভাবে ছুয়েছিলো?? তা কিভাবে ছুয়েছিলো আমাকেও একটু বলো। আমিও শুনি। ছেলেটার কি এমন ক্ষমতা ছিলো শুনি। টেল মি ফার্স্ট কিভাবে ছুয়েছিলো??
মেহেরঃ - ফায়াজ আজে বাজে কথা বলবে না। উনি মারা গেছেন। প্লিজ একজন মৃত মানুষকে নিয়ে এসব বলবেন না। আমাকে যা বলার বলুন।
- ফায়াজ চোখমুখ লাল করে কড়া গলায় বললো...
ফায়াজঃ - এতো ভালোবাসা?? একদিনের হাসব্যান্ডের জন্য এতো ভালোবাসা?? একদিনে কি এমন দিয়েছিলো তোকে?? কি এতো ভালোবেসে ছিলো যে আমার কথা তোর কাছে বিষের মতো লাগছে?
এই দাড়া দাড়া বিয়ের আগে থেকেই চিনাজানা ছিলো না তো? এর আগে থেকেই ছুয়াছুয়ি চলছিলো তাই না?
- মেহের এবার কেদে দিলো। ফায়াজের এই জঘন্য কথা গুলো সহ্য করতে পারছেনা। ওর চরিত্র নিয়ে বাজে কথা গুলো গায়ে খুব লাগছে। ও ভাবতে পারছেনা ফায়াজ ওকে এসব কি করে বলছে? ওর ভাষা এতটা খারাপ।
মেহেরঃ আমি কসম করে বলছি আমি ওনাকে বিয়ের পরেই প্রথম দেখেছি।
- মেহের কাদতে কাদতে ঠোঁট ফুলাচ্ছে। ফায়াজ এটা দেখে আরো রেগে যায়। জোরে ধাক্কা মেরে ফ্লোরে ফেলে দিলো। তারপর চুল টেনে তুলে বললো...
ফায়াজঃ আরেকবার যদি ঠোঁট ফুলাস তবে আমি তোর এই ঠোঁট কেটে ফেলবো।
- মেহের ভয়ে মুখ চেপে ধরলো। চুলের গোড়ায় প্রচন্ড ব্যথা পাচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে পারছেনা। মুখ চেপে ধরে কাদছে।
- ফায়াজ চোখমুখ শক্ত করে বললো...
ফায়াজঃ - এতো জ্বলছে এক্স হাসব্যান্ডের জন্য। এত বছর পরেও ভুলতে পারিসনি?? কই আমার জন্যতো জ্বলে না। আমাকে তো মনে পড়ে না?? দূরর হয়ে যা আমার চোখের সামনে থেকে। তোকে দেখলে আমার ঘৃণা হয়।
- তারপর চুল ছেড়ে দিয়ে আবার বোতল থেকে মদ গ্লাসে ঢালছে। মেহের দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। তারপর কল ছেড়ে মন মতো কাদছে। কাদতে কাদতে ক্লান্ত হয়ে পড়লো চোখে মুখে পানি দিয়ে শুয়ে পরলো। কিন্তু ওর চোখে ঘুম নেই। আড়চোখে ফায়াজের দিকে তাকাচ্ছে ফায়াজ একমনে মদ গিলছে।
মেহেরঃ - ফায়াজ, এমন কেন করছেন? কেন নিজেকে কষ্ট দিচ্ছেন?? কেন আমার সাথে এমন করছেন? আমিতো আপনাকে বলিনি আমাকে বিয়ে করতে? আমিতো আর বিয়েই করতে চাইনি। এভাবেই জীবনটা কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। তবে কেন এলেন আমার জীবনে??
- এসবের কোনো উত্তর নেই মেহেরের কাছে। এসব ভাবতে ভাবতেই মেহের ঘুমিয়ে পরলো।
- পরের দিন সকাল বেলা...
- মেহেরের ঘুম ভাংতেই লাফিয়ে উঠলো। কেননা গতকাল দেরিতে ঘুম ভাংগাতে ফায়াজ ওকে ধাক্কা মেরে বিছানা থেকে ফেলে দিয়েছিলো। পড়ে গিয়ে হাতে ব্যথা পেয়েছিলো অনেক। কনুইতে কিছুটা ছিলে গেছে। এখনো ব্যথা আছে। তাই নতুন করে আর ধাক্কা খেতে চায়না।
কিন্ত ফায়াজকে বিছানায় পেলোনা। ড্রিংক করতে করতে সেখানেই ঘুমিয়ে পরেছে। মেহের ফ্রেশ হয়ে নিচে যাচ্ছে। আজকে দুপুরেই মেহেরের শ্বশুর শাশুড়ী লন্ডন চলে যাবে। ভাবতেই মেহেরের মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। শুধু মন খারাপ ই না। ভয় ও করছে। না জানি ওনারা যাওয়ার পর ফায়াজ ওর সাথে কি করে। ভাবতে ভাবতে মাথা চক্কর দিচ্ছে। মাথাটা এমনিতেই ব্যথা করছে কাল রাতে কাদার ফলে। মেহের নিচে গিয়ে অবাক। কারণ সোফায় তার শ্বশুর শাশুড়ীর সাথে ওর...
পর্ব-৪
- মেহেরের বাবা-মা, ছোট বোন মিহু আর দুজন কাজিন সহ এসেছে। এত সকাল সকাল ওদের দেখে মেহের কিছুটা অবাক।
মেহেরকে দেখে মিহু দৌড়ে এসে জরিয়ে ধরলো। মিহুকে পেয়ে মেহের খুব খুশী। মেহের ও বোনকে পরম ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরলো। মিহু হটাৎ মেহেরকে ছেড়ে দিয়ে বললো...
মেহেরের বোনঃ আপি, তোমার শরীরে কেমন নতুন একটা ঘ্রাণ পাচ্ছি।
মেহেরঃ - কি নতুন ঘ্রাণ??
মেহেরের বোনঃ - জিজু জিজু ঘ্রাণ।
মেহেরঃ - খুব পাকা হয়েছিস না?? ভুলে যাচ্ছিস আমি তোর বড় বোন? বড় বোনের সাথে এভাবে কথা বলে কেউ??
মেহেরের বোনঃ - বড় বোন? দেখো আপি আমাদের দুজনের হাইট এক সমান। তাহলে বড় ছোট কি করে হবে।
মেহেরঃ - তোর সাথে আমি কথায় পারবো না। চেষ্টা করাও বিথা। চল বাবা-মায়ের কাছে যাই।
- মেহের হেসে হেসে মিহুর সাথে কথা বলছে। সেটা দেখে মেহেরের বাবা-মা কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। ভেবে নিলো মেয়ে ভালোই আছে। মেহের গিয়ে বাবা মায়ের সাথে কথা বললো। কাজিন আর বোনের সাথে অনেক গল্প করলো। তবে মেহের ভাবছে অন্য কথা। ফায়াজ যদি উল্টো পাল্টা কিছু বলে ওদের সামনে। এটা ভেবে মেহের অনেক চিন্তিত। ফায়াজ ফ্রেশ হয়ে নিচে এসেই মেহমান দেখতে পেলো। ফায়াজকে দেখে মেহেরের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। ফায়াজ কি না কি বলে কিন্তু মেহেরের চিন্তায় এক বালতি পানি ঢেলে দিয়ে ফায়াজ হাসি মুখে শ্বশুর-শাশুড়ীকে সালাম করে খোজ খবর নিলো। মেহেরের বোন আর কাজিনদের সঙ্গে গল্প করছে। মেহের ফায়াজের এমন রুপ দেখে খুশি হলো। সে মনে
Comments (0)